অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য ২০ তম সপ্তাহের বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট প্রকাশ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর। অষ্টম শ্রেণির পরীক্ষার্থীদের জন্য বিশ সপ্তাহ এর অ্যাসাইনমেন্ট ১২ অক্টোবর ২০২১ প্রকাশ করা হয়েছে। ৮ম শ্রেণির ২০ সপ্তাহ বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় Assignment answer দেখতে পারবেন। অষ্টম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়, এসাইনমেন্ট উত্তরপত্র বা সমাধান পড়তে বা সংরক্ষণ করে শিক্ষার্থীরা শুধুমাত্র অ্যাসাইনমেন্টটি Assignment ধারণা নিতে পারবে। শিক্ষার্থীরা অবশ্যই Class eight Twenty week বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় Assignment এর উত্তর নিজে থেকে লিখবে। নিচে ক্লাস ৮ ২০ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট এর নমুনা উত্তর দেওয়া হবে।
এই লেখার বিষয়বস্তু সমূহ:
৮ম শ্রেণির ২০ সপ্তাহ বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর বা সমাধান
অষ্টম শ্রেণির ২০ সপ্তাহ শিক্ষার্থীদের জন্য ইংরেজি, বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এর প্রশ্ন প্রদান করেছে। অষ্টম শ্রেণির ২০ সপ্তাহের এসাইনমেন্ট প্রশ্ন ও উত্তর পিডিএফ (PDF) পড়তে বা ডাউনলোড করতে পারবেন। Class Eight 20 week Assignment English, বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় Assignment PDF File নিচের ডাউনলোড বাটন থেকে প্রশ্ন ডাউনলোড করতে পারবেন।
আরো দেখুনঃ অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য ২০ তম সপ্তাহ ইংরেজি অ্যাসাইনমেন্ট উত্তরপত্র বা সমাধান
অষ্টম (৮ম ) শ্রেণির ২০ তম সপ্তাহের বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এসাইনমেন্টের উত্তর আমরা ধাপে ধাপে নিচে আলোচনা করবো। Class 8 Twenty week বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় Assignment উত্তর প্রশ্নের সাথে উত্তর সমন্বয় করে লিখবে। অষ্টম শ্রেণির ২০ সপ্তাহের বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট উওর দেখুন
Assignment Start
তারিখ: ১৫/১০/২০২১
বরাবর,
প্রধান শিক্ষক __ হাই স্কুল
__, সিলেট।
বিষয়: করােনায় চাকরী হারানাে জনসম্পদের উপার্জন অব্যাহত রাখার উপায় এর উপর প্রতিবেদন।
জনাব,
বিনীত নিবেদন এই যে, আপনার আদেশ অনুসারে তারিখ: ১৩/১০/২০২১ অনুসারে উপরােক্ত বিষয়ের উপর আমার নিজের প্রস্তুতকৃত প্রতিবেদনটি নিম্নে পেশ করলাম।
প্রারম্ভিকা:
বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ পল যে মায়ার বলেছন, “The greatest natural resource of our country is its people”. জনসম্পদ প্রতিটি জাতির জন্য আর্শীর্বাদ। জনসংখ্যা যতক্ষণ পর্যন্ত জনসম্পদ বা মানব সম্পদ পরিণত না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত তা জাতির বোঝা। জন সম্পদ উন্নয়নে শিক্ষার প্রধান ভূমিকা পালন করে শিক্ষা ছাড়া কোন দেশ জাতি উন্নতি করতে পারবে না। জাতীয় উন্নয়নের জন্য জনসম্পদের উন্নয়নের বিকল্প নেই। তাই কারানাকালীন সময় জনসম্পাদর উপার্জন অব্যাহত রাখার উপায় নির্ধারণ সম্বলিত একটি প্রবন্ধ নিচ তুলে ধরা হলাে।
জনসম্পদ এর ব্যাখ্যা: দক্ষ জনসংখ্যাকেই জনসম্পদ বলে। জনসম্পদ হচ্ছে কোন দেশের শ্রমশক্তি। একটি দোশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের অন্যতম উপাদান হচ্ছে জনসম্পদ। মানুষ তার মেধা শ্রম বা কায়িক শ্রম দিয় যদি রাষ্ট্র বা পৃথিবীতে অবদান রাখে তাহলে মেই মানুষকে মানব সম্পদ বলা হয় আর এই মানুষটি জনসম্পদের অংশ।
করােনাকালীন সময়ে কর্মসংস্থান হারানাের একটি চিত্র: আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) তথ্য অনুযায়ী, করােনাভাইরাসের কারণে আগামী তিন মাসের মাধ্যে বিশ্বে সাড়ে ১৯ কোটি মানুষ তাদের পূর্ণকারলীন চাকরি হারাতে যাচ্ছে। যার মধ্য সাড়ে ১২ কোটি মানুষ বসবাস করেন এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলােতে। ধারণা করা হচ্ছে, করােনার প্রভাবে বাংলাদেশেও বিপুল সংখ্যক কর্মজীবী মানুষ কর্মচ্যুত হবেন। কায়কটি নির্বাচিত খাতে কর্মসংস্থান হারানাের একটি আনুমানিক পরিসংখ্যান –
অন্তত ৪৭ শতাংশ পােশাকশ্রমিক ( যে সংখ্যা দাঁড়াবে ২৩ লাখ) তৈরি পােশাক শিল্পের শ্রমিক চাঁকরি হারাতে পারে।
- ১৫ লাখ রিকশা শ্রমিক।
- ৩৬ লাখ পােশাক শ্রমিক।
- ৫২ লাখ পরিবহন শ্রমিক।
- ২৬ লাখ নির্মাণ শ্রমিক।
- ২৪ লাখ হকার।
আহসান এইচ মনসুর সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, গার্মেন্টস, ব্যাংক, ইন্স্যারন্স ও সরকার এই চারটি থাত ছাড়া বাকি সবই ইনফরমাল (অনানুষ্ঠানিক)। করোনায় ফরমাল (আনুষ্ঠানিক) কর্মজীবী ছাড়া আর সবাই এখন বেকার। বেকারের এই সংখ্যা দেড় থেকে দুই কোটি। তিনি বলেন, গত ২৬ মার্চ থেকে বাংলাদেশে যে অঘোষিত লকডাউন শুরু হয়ছে, এর ফলে যারা হােটল-রেস্তোরাঁ, নির্মাণ খাতের মতাে অনানুষ্ঠানিক খাতে কাজ করেন, সেসব খাতে শ্রমিকরা দীর্ঘাদিন বেকার বসে রয়েছেন।
বিকল্প কর্মসংস্থান: করোনার ফলে অনেক আনেক মানুষ বেকার হয়ে পড়েছে যার ফলে নিজ নিজ উদ্যোগে অনেকে ঘর বসে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছে যেমন-
- অনলাইনে শাকসবজি ও কাঁচামাল বিক্রি করা, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস বিক্রয় করা, ইত্যাদি।
- নিজ বাড়িতে গরু ও মহিষ পালন করা এবং বিক্রয় করা।
- বসত বাড়িতে হাঁস মুরগী পালন ও বিক্রয় এবং ডিম বিক্রয় করা।
- অনলাইন ভিত্তিক নিজ নিজ বাসাবাড়িতে রেস্টুরেন্ট খোলা।
করোনার কারণে গেণ্জি,প্যান্ট,তেজসপত্র সহ আনেক জিনিস উৎপাদনের জন্য ছােট ছােট আনেক কল কারখানা গড়ে উঠেছে। তাই বলা চলে যে, করোনাকালীন সময় এই পেশাগুলা বিকল্প সংস্থান হতে পারে।
জনসংখ্যাকে জনসম্পদে রূপান্তরে উদ্যোগ:
সরকারি উদ্যোগ, অর্থমন্ত্রী বাজেটে বলেছেন, সরকার তৈরি পােশাকসহ রফতানিমুখি শিল্পর শ্রমিকদের বেতন-ভাতা দেওয়ার জন্য পাঁচ হাজার কো্টি টাকার ঋণ তহবিল গঠন করেছে। শিল্প সেকটরের জন্য ৩০ হাজার কোটি টাকার ও কুটিরশিল্পমহ এমএমই প্রতিষ্ঠানের জন্য ২০ হাজার কোর্টি টাকার ঋণ সুবিধা চালু করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলের পরিমাণ সাড়ে তিন বিলিয়ন ডলার থেকে পাঁচ বিলিয়ন ডলার উন্নতি করেছে। গ্রামের দরিদ্র কৃষক, বিদেশফেরত শ্রমিক, তরুণ ও বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের জন্য বিভিন্ন ব্যাংকের মাধ্যমে দুই হজার কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করার ঘােষণা দিয়েছে। একই সঙ্গে প্রশিক্ষণ শিখানোর মাধ্যমে দক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য বিভিন্ন জেলায় নতুন কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
জনসংখ্যাকে জনসম্পদে রূপান্তরে উদ্যোগ: বেসরকারি উদ্যোগ, জনসংখ্যাকে জনসম্পদে রূপান্তার করার জন্য বেসরকারি যেসকল উদ্যাগ বিভিন্ন এলাকায় গ্রহণ করা হচ্ছে তার মাধ্যে অন্যতম হলো –
অনলাইনে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষা প্রদান কার্যক্রম চালু রাখা। কেননা জনসংখ্যাকে জনসম্পদে রূপান্তরের সবচেয়ে বড় মাধ্যম হলাে শিক্ষা। যার কারণে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলাে কারানাকালীন এই সময়ে শিক্ষা খুব ভালো অবদান রেখেছে।
অনেক বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনলাইনে মানুষদের প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে দক্ষ জনগাষ্ঠীতে পরিণত করেছে যা বেকার জনগোষ্ঠীকে জনসম্পদে পরিণত করতে সাহায্য করেছে। যেমনঃ Creative it institute করোনা কালীন সময়ে ফ্রিতে অনলাইনে টাকা উপার্জানের মাধ্যম শেখাচ্ছে যা দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করতে সাহায্য করবে। এভাবে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি উপায়ে অনেক উদ্যোগ গহণ করা হয়েছে।
বিশেষ প্রশিক্ষণ যা যেকোনাে পরিস্থিতিতে উপার্জন অব্যাহত রাখে:
এই বিশেষ প্রশিক্ষণের মধ্যে কয়েকটা দিক রাখে যেমন –
অনলাইন ভিত্তিক-বর্তমান বিশ্ব অনলাইন ভিত্তিক হায়ে যাওয়ায় যদি কেউ Web Development , গ্রাফিক্স ডিজাইন, ফটোগ্রাফিক, ভিডিওগ্রাফি, ভিডিও এডিটিং সহ এসকল কাজ জানে তাহলে যেকোন সময় যেকোন পরিস্থিতিতে তার উপার্জন অব্যাহত রাখতে সক্ষম হবে।
অর্থনীতি- ঘর বসে যেসব উৎপাদনমূলক অর্থনৈতিক কাজ করা হয় এবং একে কেন্দ্র কর যে অর্থনীতি পরিচালিত হয়, তা-ই হচ্ছে অর্থনীতি। যেমন-হাঁস-মুরগি, গবাদি পশু লালন, সবজি চাষ, কুটির শিল্প ইত্যাদি।
কৃষিকাজের প্রশিক্ষণ ইত্যাদি আর এগুলার প্ৰশিক্ষণ যদি কারাে থাকে তাহলে সে যে কোন অবস্থায় উপার্জন অব্যাহত রাখতে পারে।
উপসংহার: কোভিড়-১৯ মহামারীর কারণে পুরা বাংলাদেশের বিশাল একটি অংশ চাকরি হারিয়ে বেকার হয় পড়েছে। তাই সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর উচিত এদেরকে সময় উপযোগী প্রশিক্ষণ দেওয়ার পাশাপাশি পরামর্শ দিয়ে পুনরায় অর্থ উপার্জনে সাহায্য করে জনসম্পাদে রূপান্তর করা।
Source: দৈনিক ইত্তেফাক
Assignment End
সর্তকতা: এই অ্যাসাইনমেন্ট শুধু নমুনা উত্তর। শিক্ষার্থীরা অব্যশই নিজে থেকে এসাইনমেন্ট এর উত্তর লেখবে
ক্লাসেসবিডি সবসময় সবার আগে শিক্ষা তথ্য চাকরির খবর প্রকাশ করে থাকে। যেকোনো বিষয়ের অ্যাসাইনমেন্ট এর আপডেট, প্রতিদিনের চাকরির খবর, শিক্ষা নিউজ, স্কুল-কলেজ, ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নোটিশ পেতে আমাদের ফেসবুকে পেইজে লাইক দিয়ে ক্লাসেসবিডির সাথেই থাকুন
খুব উপকারী ছিল
মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ। অ্যাসাইনমেন্ট এর সকল আপডেট পেতে আমাদের সাথেই থাকুন
😭😭😭😭😭